ঢাকাবুধবার , ৩০ নভেম্বর ২০২২
  • অন্যান্য
আজকের সর্বশেষ সবখবর

ভূমিদস্যুদের দখলে নওয়াব ফয়জুন্নেছার স্বৃতি বিজড়িত বাড়ী

জামাল উদ্দিন স্বপন :
নভেম্বর ৩০, ২০২২ ৯:৫৪ পূর্বাহ্ণ । ১২৩ জন

ভূমিদস্যুদের থাবায় ঐতিহ্য হারানোর উপক্রম কুমিল্লার লাকসাম পশ্চিম গাঁয়ের উপমহাদেশের প্রথম মুসলিম মহিলা নওয়াব ফয়জুন্নেছা চৌধুরানীর বাড়ী।

হাতি ও ঘোড়াগাড়ীতে চড়ে নওয়াব ফয়জুন্নেছা তার বাড়ীতে আসা-যাওয়া যে পথ ও দরজা ব্যবহার করতেন তা এখন অস্তিত্ব হারানোর দ্বারপ্রান্তে। ছৈয়দ আলী মিয়া নামক এক ভুমিদস্যু অবৈধভাবে ও গায়ের জোরে ঐ পথ বন্ধ করে ৫ বছর আগে শুরু করে বাড়ীর নির্মাণ কাজ। প্রত্নতত্ব অধিদপ্তর আপত্তি জানালে তৎকালীন সংসদ সদস্য ও বর্তমান এলজিআরডি মন্ত্রীর হস্তক্ষেপে ভূমিদস্যু ছৈয়দ আলী মিয়ার অবৈধ বাড়ীর কাজ বন্দ্বেে উপজেলা প্রশাসন নির্দেশ দেন।

দীর্ঘদিন অর্ধসমাপ্ত অবস্থায় পড়ে থাকে নির্মানাধীন বাড়ীটি। কিন্তু সম্প্রতি ভূমিদস্যু রবিউল হোসেন সবুজের সক্রিয় তত্বাবধানে নওয়াব বাড়ীর পূর্ব দিকের প্রবেশপথ সংলগ্ন ঐ বিল্ডিং এর অবশিষ্ট কাজ সম্পন্ন করা হয়। যাতে এখন কয়েকটি পরিবার বসবাস শুরু করছে।যা প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের নীতিমালার পরিপন্থী।

উল্লেখ্য, নবাব ফয়েজুন্নেছা জীবদ্দশায় তার সম্পদের একটি অংশ জনকল্যাণে ওয়াকফ রাহে লিল্লাহ করেন। যাতে তাঁর আওলাদের উক্ত সম্পত্তি ব্যবহার ও ভোগ দখলের শর্ত থাকলেও বিক্রয় ও হস্থান্তর নিষিদ্ধ করা হয়।

কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য ওয়াকফ এস্টেট মোতওয়াল্লী সৈয়দ মাছুদুল হক ও তার ভাই সৈয়দ কামরুল হকের সহায়তায় ভূমিদস্যু আবুল কালাম বিপু ও দেলোয়ার হোসেন সবুজ ওয়াকফকৃত চিহ্নিত অনেক জায়গা ভূয়া দলিলের মাধ্যমে কেনা বেচা সম্পন্ন করছেন।

দেলোয়ার হোসেন সবুজের নির্মিত বসতবাড়ীটি তার জ্বলত্ব উদহারন। এই বাড়ীটি ফয়জুন্নেসা এস্টেটের ওয়াকফকৃত সম্পদ। এছাড়া আরো বেশ কিছু জায়গা এখন জাল দলিলের মাধ্যমে বিক্রির চেষ্টা চলছে।

এলাকাবাসীর দাবী অবিলম্বে এসব ভূমিদস্যুদের কবল থেকে নওয়াব বাড়ীর প্রবেশের পুর্বদিকের গেট সহ ওয়াকফকৃত অন্যান্য সম্পদ উদ্ধার করা হোক।
বন্ধ হোক ধর্ম মন্ত্রনালয়ের আওতাধীন ওয়াকফ এস্টেট ও সংস্কৃতিক মন্ত্রনালয়ের ঠেলাঠেলি। সেই সাথে প্রত্বতত্ব অধিদপ্তরের তত্বাবধানে অবিলম্বে প্রস্তাবিত ফয়জুন নেছা যাদুঘর চালু করা হোক।

উল্লেখ্য, নারী শিক্ষার অগ্রদূত মহারানী নওয়াব ফয়জুন্নেছা চৌধুরানী লাাকসাম সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে অসংখ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপনের মাধ্যমে ইতিহাসে অমর হয়ে রয়েছেন। তার হাতে গড়া মসজিদের পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত আছেন তিনি।