ঢাকামঙ্গলবার , ৭ নভেম্বর ২০২৩
  • অন্যান্য

প্রয়াত নাজমুল হুদার প্রতিষ্ঠিত তৃণমূল বিএনপিই হচ্ছেন প্রদান বিরোধীদল

নিজস্ব প্রতিবেদক :
নভেম্বর ৭, ২০২৩ ৬:১১ অপরাহ্ণ । ১১৪ জন

বুধবার (৮ নভেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবে এক অনুষ্ঠানে দলে যোগ দিতে যাচ্ছেন বিএনপির সাবেক জনপ্রতিনিধি ও সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ বেশ কয়েকজন পরিচিত মুখ। বিএনপি ছেড়ে তৃণমূল বিএনপিতে যোগ দিয়ে ইতোমধ্যে রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনার জন্ম দিয়েছেন শমসের মবিন চৌধুরী ও অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার। যোগ দিয়েই তারা দলটির শীর্ষ নেতৃত্বে চলে যান।

জানা গেছে, প্রথম কাউন্সিলের পর থেকে দলছুট কিংবা বিএনপির বহিষ্কৃত আলোচিত নেতাদের ভেড়ানোর জন্য চেষ্টা করছে তৃণমূল বিএনপি। আনুষ্ঠানিকভাবে বুধবার রাজধানীতে দলটি যোগদান অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে৷ কৌশলগত কারণে দলে যোগ দিতে যাওয়া নেতাদের নাম প্রকাশ করছে না।

গেল ১৯ সেপ্টেম্বর বিএনপির সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান শমসের মবিন চৌধুরী ও চেয়ারপারসনের সাবেক উপদেষ্টা (বহিষ্কৃত) এবং নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক তৈমুর আলম খন্দকার তৃণমূল বিএনপিতে যোগ দেন।

মঙ্গলবার সকালে তৈমুর আলম বলেন, সাবেক সেনা কর্মকর্তা, বিভিন্ন পৌরসভার সাবেক মেয়রসহ অনেকেই যোগ দিবেন আমাদের দলে। পর্যায়ক্রমে বিএনপি থেকে বিভিন্ন সময় বাদ পড়া এবং নিজ থেকে ছেড়ে দেওয়া নেতারাও তৃণমূলে যোগ দেবেন।কেননা বঞ্চনা আর কতদিন সহ্য করা যায়।

তিনি জানান, ১২ নভেম্বর জাতীয় প্রেসক্লাবে সদ্য গঠিত রাজনৈতিক দল প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক ফোরাম এক যোগদান অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। যেখানেও তিনি অতিথি হিসেবে থাকবেন। ওই দলে বিএনপির সাবেক নেতারা যোগ দিতে পারেন বলে তিনি জেনেছেন।

গেল ১৫ অক্টোবর চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক ফোরামের আত্মপ্রকাশ ঘটে। বিএনপি নেতা, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (চাকসু) এক সময়ের ভিপি নাজিম উদ্দিন এবং জিএস আজিম উদ্দিন এই দলের শীর্ষ নেতৃত্বে আছেন। নতুন দলের আহ্বায়ক নাজিম ওইদিনই জানান, শিগগিরই তারা ঢাকায় সম্মেলন করে ১০১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটির নাম ঘোষণা করবেন।

১৯৯০ সালে ‘সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্যের’ প্যানেল থেকে চাকসুর ভিপি-জিএস নির্বাচিত হয়েছিলেন নাজিম ও আজিম।

এদিকে বিএনপির সাবেক কয়েকজন নেতার দল ‘তৃণমূল বিএনপি’ ৩০০ আসনেই প্রার্থী দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। তৃণমূল বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা নাজমুল হুদা বিএনপি প্রতিষ্ঠার সময় দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ছিলেন, একাধিকবার মন্ত্রীও হন। পরে মতবিরোধে জড়িয়ে বহিষ্কৃত হন, গঠন করেন নিজের দল।

নিজের প্রথম দল বিএনএফ থেকে বহিষ্কৃত হয়ে নাজমুল হুদা পরে গঠন করেন বাংলাদেশ ন্যাশনাল অ্যালায়েন্স (বিএনএ), বাংলাদেশ মানবাধিকার পার্টি (বিএমপি) ও তৃণমূল বিএনপি। চলতি বছরের ১৬ ফেব্রুয়ারি নিবন্ধন পায় নাজমুল হুদার তৃতীয় দলটি। এর তিন দিন পরেই মারা যান নাজমুল হুদা। এরপর থেকে তার মেয়ে অন্তরা সেলিমা হুদা দল চালাচ্ছিলেন।

গত ১৯ সেপ্টেম্বর বিএনপির দুই সাবেক নেতা সমশের মবিন চৌধুরীকে চেয়ারপারসন ও তৈমুর আলম খন্দকারকে মহাসচিব করে তৃণমূল বিএনপির কমিটি গঠন করা হয়। অন্তরা হুদাকে করা হয় নির্বাহী চেয়ারপারসন।

আলোচিত সেই সম্মেলনের পর প্রথমবারের মতো নির্বাচন কমিশনের সংলাপেও অংশ নেন শমসের মবিন, তৈমুর আলম, অন্তরা হুদাসহ দলের ১৮ জন নেতা।