ঢাকাশুক্রবার , ১৭ মার্চ ২০২৩
  • অন্যান্য
আজকের সর্বশেষ সবখবর

দেবীদ্বারে বঙ্গবন্ধুর ১০৩ তম জন্ম বার্ষিকীতে দোয়া ও আলোচনা সভা

মোঃ বিল্লাল হোসেন,দেবীদ্বার প্রতিনিধিঃ
মার্চ ১৭, ২০২৩ ৮:৩২ পূর্বাহ্ণ । ৭৩ জন
কেক কেটে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন পালন করে নেতাকর্মীরা

কুমিল্লা’র দেবীদ্বারে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৩ তম জন্ম বার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবসে দোয়া ও আলোচনা সভার আয়োজন করেছে দেবীদ্বার উপজেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ, সহযোগী সংগঠন।

শুক্রবার ( ১৭ই মার্চ) বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন এবং জাতীয় শিশু- কিশোর দিবস উপলক্ষে দেবীদ্বার উপজেলার পরিষদের বঙ্গবন্ধুর সমাধিসৌধে (মূরালে) পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানিয়ে একটি বিশাল নেতাকর্মীদের বহরের র‌্যালি নিয়ে এবিএম গোলাম মোস্তফা স্টেডিয়াম পর্যন্ত গিয়ে শেষ হয়ে দেবীদ্বার পৌর মিলনায়তনে প্রথমে পবিত্র কুরআন তেলওয়াতের পর আলোচনা সভা ও কেক কাটার মধ্যে দিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৩ তম জন্ম বার্ষিকী অনুষ্ঠানের সূচনা করেন। দেবীদ্বার উপজেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ, সহযোগী সংগঠনের নেতা কর্মীরা।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি এ কে এম মনিরুজ্জামান মাষ্টার এর সভাপতিত্বে,জাফরগঞ্জ মীর আব্দুল গফুর ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক মোঃ সাইফুল ইসলাম(শামিম) এর সঞ্চালনায়

জন্ম বার্ষিকীর অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি এ কে এম মনিরুজ্জামান মাষ্টার,উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ মোস্তফা কামাল চৌধুরী,কুমিল্লা উওর জেলা সেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ লিটন সরকার,কুমিল্লা উত্তর জেলা কৃষক লীগের সন্মেলন প্রস্তুতি কমিটির যুগ্ন আহ্বায়ক মোঃ সেলিম হোসেন,জেলা ছাএলীগের সাবেক সভাপতি আবু কাউছার অনিক,উপজেলা সেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ সাদ্দাম হোসেন,উপজেলা ছাএলীগের সাবেক সভাপতি মোঃ ইকবাল হোসেন রুবেল, উপজেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ পারভেজ খান, পৌর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ মসিউর রহমান সুমনসহ আরো অনেকে।

এ কে এম মনিরুজ্জামান মাষ্টারের বক্তব্যে বলেন,আজ বুধবার ১৭ মার্চ বাঙালির মহানায়ক জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০১ তম জন্মবার্ষিকী। ১৯২০ সালের এই দিনে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ার শেখ লুৎফর রহমান এবং সায়েরা খাতুন ঘরে। টুঙ্গীপাড়ার অজপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করা ‘খোকা’ নামের সেই শিশুটি পরবর্তীতে হয়ে উঠেন নির্যাতিত-নিপীড়িত বাঙালি জাতির মুক্তির দিশারী ও সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি।

কিশোর বয়সেই তিনি সক্রিয় রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন। গোপালগঞ্জের মিশন স্কুলে অষ্টম শ্রেণীতে অধ্যায়নকালে তৎকালীন ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনে যোগদানের কারণে শেখ মুজিবুর রহমান প্রথমবারের মতো গ্রেফতার হয়ে কারাবরণ করেন। এরপর থেকে শুরু হয় বঙ্গবন্ধুর আজীবন সংগ্রামী জীবনের অভিযাত্রা। তিনি বঙ্গবন্ধু তাঁর সহকর্মীদের নিয়ে ১৯৪৮ সালে ছাত্রলীগ এবং পরবর্তীতে ১৯৪৯ সালে আওয়ামী লীগ গঠন করেন।

পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর দীর্ঘ ২৩ বছর পাকিস্তানি শাসকশ্রেণির বৈষম্য-নীতি, শোষণ ও অগণতান্ত্রিক কার্যক্রমের বিরুদ্ধে শেখ মুজিবুর রহমানের সংগ্রামের কথাই বারবার ঘুরে-ফিরে আসে।

’৪৭-এ দেশবিভাগ ও স্বাধীনতা আন্দোলন, ’৫২-এর ভাষা আন্দোলন, ১৯৫৪ সালের নির্বাচনে ২১-দফার ভিত্তিতে যুক্তফ্রন্টের কাছে মুসলিম লীগের শোচনীয় পরাজয় ছিল তাদের রাজনৈতিক ধ্যান-ধারণার বিপর্যয়। তেমনি বাঙালি জাতীয় সত্তা সংরক্ষণের দৃঢ় প্রতিজ্ঞা প্রকাশ পায় প্রথম বাংলা ভাষা আন্দোলনে, পরে ১৯৫৪ সালের নির্বাচনে মুসলিম লীগের পরাজয়ে।

এরপর ৬২-এর শিক্ষা আন্দোলন, ’৬৬-এর ছয় দফা আন্দোলন, ’৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান পেরিয়ে ’৭০ সালের ঐতিহাসিক নির্বাচনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা হিসেবে পরিণত হন।

১৯৭১ সালের ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর হাতে গ্রেফতার হওয়ার পূর্বে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। দেশের স্বাধীন হওয়ার মাত্র ৪ বছরের মাথায় ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের কালরাত্রিতে বিশ্বাস ঘাতকদের তপ্ত বুলেটে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বপরিবারে নিহত হন।

কিন্তু বাংলাদেশ ও বঙ্গবন্ধু এক অবিচ্ছেদ্য নাম এবং বাংলাদেশ, বঙ্গবন্ধু ও বাঙালি জাতির অবিভাজ্য সম্পর্কের কোন পরিসমাপ্তি নেই।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান হাজ্বী আবুল কাশেম ওমানী,মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান এ্যাডভোকেট নাজমা বেগম, কুমিল্লা জেলা পরিষদের সদস্য ভিপি বাবুল,শিরিন সুলতানা,বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ রফিকুল ইসলাম, উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোসাঃ নাজমা মোরশেদ, জাফরগঞ্জ ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ সোহরাব হোসেনসহ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।