কুমিল্লার দেবীদ্বারে বাড়ি নির্মাণের সময় ১০ লাখ টাকা চাঁদা না পেয়ে এক গৃহবধূকে ঘরে আটকিয়ে নির্যাতন শেষে তালাবদ্ধ করে রাখার ঘটনার অভিযোগে মামলা হওয়ার পর ওই মামলায় অভিযুক্ত উপজেলার ১১ নং রাজামহার ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মোঃ জসিম উদ্দিনের বিরুদ্ধে দায়ের করা চলমান মামলার সর্বশেষ অবস্থা ও সার্টিফাইড কপির সত্যতা যাচাই করে মতামতসহ প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দিয়েছেন স্থানীয় সরকার,পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগ।কুমিল্লা জেলা প্রশাসককে (ডিসি) এই প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগ ইউপি-১ শাখার উপসচিব মোহাম্মদ সাঈদ উর রহমান গত ২৪ মে এ আদেশ দিলেও বিষয়টি জানাজানি হয় ৩০ মে দুপুরের দিকে।
অনুসন্ধানে জানাযায়, গত ২০২১ সালের ২৯ নভেম্বর সোমবার বিকেলে কুমিল্লার দেবীদ্বার উপজেলার রাজামেহার ইউনিয়নের রাজামেহার গ্রামের নিজামুদ্দিন বাড়ীতে ড্রেনমার্ক প্রবাসী আলা উদ্দিনের নতুন বাড়ি নির্মানের সময় ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. জসিম উদ্দিন সরকার তার দলবল নিয়ে আলা উদ্দিনের বড়বোন জাহানারা বেগমের কাছে ১০ লাখ টাকা চাঁদার দাবিতে নির্মানাধীন বাড়ি ভাঙচুরসহ হামলা করে ওই নারীকে তালাবদ্ধ করে নির্যাতন করে। ওই হামলায় ওই নারী সে সময় ৯৯৯ নম্বর জরুরী সেবায় ফোন করে পুলিশের সহযোগীতায় মুক্ত হয়ে একই বছরের ২ ডিসেম্বর কুমিল্লার ৪ নং বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে ১১ নং রাজামেহার ইউপি চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিনসহ ৬ জনের নাম উল্লেখ করে একটি মামলা দায়ের করেন (মামলা নং সি আর ৪১৬-২১, দেবীদ্বার)। ওই মামলাটি দীর্ঘ তদন্ত শেষে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) গত ২০২২ সালের ২৭ এপ্রিল আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন।
আদালতে অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিনকেসহ প্রতিবেদন দাখিল করায় চলতি বছরের ৯ মে ওই ইউপির চুলাশ গ্রামের মো. তাজুল ইসলামের ছেলে সিরাজুল ইসলাম ওই ইউপি চেয়ারম্যানের বরখাস্ত করার জন্য স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবর একটি আবেদন করায় বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে প্রতিবেদন দেয়ার নির্দেশ দেন।