ঈদুল ফিতরের পর ছুটিতে বুধবার (২৬ এপ্রিল) বাড়িতে আসার কথা ছিল। সবাই যখন তার বাড়িতে আসার আনন্দে আত্মহারা ঠিক তখনই এলো তার মৃত্যুর খবর। সৌদি আরবের জেদ্দায় নিজ বাসায় মঙ্গলবার (২৫ এপ্রিল) স্ট্রোক করে মারা যান তিনি।
তিনি হলেন মৃত মুব্বাশির ভূঁইয়া (২৬) ব্রাহ্মণবাড়িয়া আখাউড়ার দক্ষিণ ইউনিয়নের গাজীর বাজারের ব্যবসায়ী ও সাহেব নগর গ্রামের আবু জাহের ভূঁইয়ার ছেলে।
মৃত প্রবাসীর ছোট ভাই মুকাদ্দেস ভুঁইয়া জানান, গত চার বছর আগে পরিবারের সুখের আশায় সৌদি আরব পাড়ি জমিয়েছিল মুব্বাশির ভূঁইয়া। এরই মধ্যে ছয় মাস আগে দেশে এসে ছুটি কাটিয়ে আবার প্রবাসে চলে যান। গত দেড় মাস আগে কোম্পানিতে ছুটি চাইলে ঈদের পর দেশে আসার জন্য ভাইকে ছুটি দেওয়া হয়। সে অনুযায়ী দেশে আসার সকল প্রস্তুতিও সম্পন্ন করেছিল। বুধবার (২৬ এপ্রিল) দেশে আসার কথা ছিল। আমি গাড়ি ভাড়া করে রেখে ছিলাম রাতে ঢাকা এয়ারপোর্টে গিয়ে দুপুরের মধ্যে তাকে নিয়ে বাড়ি আসব। এর একদিন আগেই স্ট্রোক করে মারা যায় সে। কথা গুলো বলার সময় কন্ঠ জড়িয়ে আসে তার। ভাইয়ের অকালপ্রয়াণে কান্নায় ভেঙে পড়ে তিনি।
একটি ঘরে বসে আহাজারি করে কাঁদছিলেন পঞ্চাশোর্ধ্ব রোকেয়া বেগম মৃত মুব্বাশিরের। কান্না কণ্ঠে তিনি বলেন, ‘তোমরা আমার বুকের মানিককে আমার বুকে ফিরিয়ে দাও। আমি আর কিছু চাই না। তিনি সৌদি আরবে মৃতে মুব্বাশির ভূঁইয়ার মমতাময়ী মা।
এদিকে তার পরিবারের একটাই চাওয়া যাতে মুব্বাশিরের লাশ দ্রুত দেশে আনা হয়। এ জন্য পরিবারের পক্ষ থেকে স্থানীয় সংসদ সদস্য ও আইন মন্ত্রী আনিসুল হক ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুদৃষ্টি কামনা করেন তাঁর স্বজনরা।
আখাউড়া দক্ষিণ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. জালাল উদ্দিন বলেন, মৃত মুব্বাশির আমার এলাকার সাহেবনগর গ্রামের বাসিন্দা। তার মৃত্যু সংবাদটি আমি পেয়েছি। বিষয়টি অত্যন্ত মর্মান্তিক। আমি তার পরিবারের খোঁজ খবর রাখছি। আমি তাঁর বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি।