সাংবাদিক হত্যা মামলার আসামীর অন্যতম সহযোগী ওয়ারেন্টভুক্ত আসামী মেহেদী গংদের পরিকল্পিত হামলায় আহত হয়েছে মাহফুজ বাবু।
বুধবার বিকেলে কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলা প্রেসক্লাব সহ-সভাপতি দৈনিক ভোরের কলাম স্টাফ রিপোর্টার ও সাংবাদিক নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটির স্থানীয় জেলা আহবায়ক মাহফুজ বাবু’র ওপর পরিকল্পিত হামলা ও মারধরের ঘটনা ঘটেছে।
একাধিক মামলার ওয়ারেন্ট ভুক্ত আসামী কুখ্যাত সন্ত্রাসী ময়নামতি সমেশপুর এলাকার মেহেদী হাসান রিয়াদসহ সন্ত্রাসী বাহিনীর হামলায় আহত সাংবাদিক বর্তমানে কুমিল্লা সদর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯ ফোন পেয়ে কোতোয়ালি থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে অভিযান চালিয়ে আসামীদের খুঁজে পায়নি বলে জানা গেছে।
বুধবার বিকেল আনুমানিক সাড়ে ৩টায় জেলা সদরের শুভপুর এলাকায় গোমতী বাঁধের ওপর এ ঘটনা ঘটে।
এ বিষয়ে আহত সাংবাদিক মাহফুজ বাবু কোতোয়ালি মডেল থানায় মেহেদী হাসান রিয়াদ ও তার তিন সহযোগীসহ অজ্ঞাতনামা ৭/৮ জনের নামে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে।
লিখিত অভিযোগ ও আহত সাংবাদিকের সাথে কথা বলে জানা যায়, বিভিন্ন সময় চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, মারামারি,হত্যাসহ একাধিক মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত আসামী সন্ত্রাসী রিয়াদের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশের কারণে এ হত্যার চেষ্টাটি চালানো হয়েছে।
দীর্ঘদিন ধরেই বিভিন্ন ভাবে ফাঁদ পেতে ব্যর্থ হয় রিয়াদ। সে বুড়িচং উপজেলার ময়নামতি ইউপির সমেশপুর এলাকার আক্তার মিয়ার ছেলে।
বুধবার বিকেলে নগরীর সংরাইশ থেকে গোমতী বাঁধ সড়ক দিয়ে ক্যান্টনমেন্ট যাওয়ার পথে শুভপুর এলাকায় পৌঁছুলে দুটো মোটরসাইকেল নিয়ে মাহফুজ বাবুর গাড়ির সামনে পথরোধ করে। গাড়ি থেকে নামার পর রিয়াদ, ফরহাদ সহ সাথে থাকা অন্যান্যরা এলোপাথাড়ি মারধর করতে থাকে থাকে। এসময় মাহফুজ বাবুর গাড়ি চালক আব্দুল্লাহ বাঁধা দিতে গেলে তাকেও মারধর করা হয়। মূহুর্তেই আরো কয়েকটি মটর সাইকেলে ৭/৮ জনের একটি বাহিনী জিআই পাইপ, রড, লাঠি দিয়ে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে মাটিতে ফেলে। এরা মাহফুজ বাবুর ৩টি মোবাইল,ঘড়ি ও মানিব্যাগ নিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থল করে। স্থানীয়রা জাতীয় জরুরী সেবায় ৯৯৯ ফোন করে। খবর পেয়ে কোতোয়ালি মডেল থানার এসআই নিয়ামুল সহ সঙ্গীয় ফোর্স ঘটনাস্থলে গিয়ে কাউকে পাননি বলে জানা গেছে।
সন্ত্রাসীদের হামলায় আহত সাংবাদিক মাহফুজ বাবু বর্তমান স্থানীয় আদর্শ সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রয়েছেন। খোঁজ নিয়ে জানাযায়, কিশোর গ্যাং সদস্য রিয়াদের বিরুদ্ধে বুড়িচং ও কোতোয়ালি থানায় চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, মারামারি সহ বিভিন্ন অভিযোগে একাধিক মামলায় প্রায় ৩ডজন মামলা রয়েছে। এ সকল মামলায় একাধিক ওয়ারেন্টধারী মেহেদীর বিরুদ্ধে আদালতের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা থাকলেও সে পুলিশের খাতায় পলাতক। অথচ প্রকাশ্যে এ হামলাটি সংগঠন করে।
বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টিবোর্ডের চেয়ারম্যান আহমেদ আবু জাফর অবিলম্বে হামলাকারীকে খুঁজে বের করতে অনুরোধ জানান।
মাহফুজ বাবু বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের সহযোগী সংগঠন সাংবাদিক নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটির কুমিল্লা জেলা কমিটির অন্যতম নেতা হিসেবে সাংবাদিক নির্যাতন বিরোধী কর্মকান্ডের সাথে জড়িত। বাবু ঘটে যাওয়া পাচারসহ অপরাধ, দূর্ণীতি, অন্যায়,অনিয়মের বিরুদ্ধে সোচ্চার। অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রকাশ্য ও ছদ্মবেশী লেখায় মাহফুজ বাবু নাছোড়বান্দা।