ঢাকাশনিবার , ১৮ মার্চ ২০২৩
  • অন্যান্য
আজকের সর্বশেষ সবখবর

ওয়াহেদপুরে হযরত কালাই শাহ (রঃ) এর মাজার

মোঃ আবদুল আউয়াল সরকার:
মার্চ ১৮, ২০২৩ ৯:৫৪ পূর্বাহ্ণ । ৮৯ জন
ওয়াহেদপুর হযরত কালাই শাহ (রঃ) এর মাজার

ওয়াহেদপুর থেকে ফিরে এসে।

মাজার একটি আরবী শব্দ, যা এখন শুধু বাংলাতেই ব্যবহৃত হয়। শব্দটি ফারসী দরগাহ শব্দের প্রতিশব্দ। এর ধাতুগত অর্থ ‘যিয়ারতের স্থান’। মাজার বলতে সাধারণত আওলিয়া-দরবেশগণের সমাধিস্থলকে বোঝায়। একজন শ্রদ্ধেয় ধর্মীয় ব্যক্তির কবরের উপরে নির্মিত একটি আরাধনার স্থান, প্রায়শই একজন সুফি সাধক বা দরবেশের মাজারে প্রায়ই যিয়ারতের জন্য যান যা, ধর্মীয় পরিদর্শন এবং আত্মার সন্তুষ্টির সাথে সম্পর্কিত।

তেমনি একটি স্থান হযরত কালাই শাহ (রঃ) এর মাজার, এটি কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার সুবিল ইউনিয়নের ওয়াহেদপুর গ্রামে অবস্থিত।

সুদুর সৌদি আরব থেকে ৩৬০ মতান্তরে ৩৫০ জন আওলিয়া দেবিদ্বারের উটখাড়া এলাকায় ইসলাম প্রচারের জন্য আগমন করে। তাদের মধ্য থেকে হযরত কালাই শাহ (রাঃ) গোমতী পেড়িয়ে ওয়াহেদপুর গ্রামে আসেন এবং এখানেই তিনি ইসলাম ধর্মের ব্যাপক প্রসার ঘটান। যার নিদর্শন এখনকার এই মাজার। প্রতি বছর এই মাজারে বিভিন্ন বার্ষিক ওরশ ও মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে।
যাতায়াত – দেবিদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স গেইট থেকে সিএনজি/ রিক্সা যোগে ওয়াহেদপুর বাজারে আসা যায়।ভাড়ার হার- ১৫ -২০ টাকা। (জনপ্রতি)।

বহু বছর আগে মুসলিম ধর্ম বিশ্বাস ও সংস্কৃতির প্রচার ও প্রসার হয়েছে এই বাংলার মাটিতে বিভিন্ন দেশ থেকে আগত ওলী-আউলিয়া-পীরের মাধ্যমে। পরম্পরায় তাঁরা শায়িত আছেন দেশের বিভিন্ন জেলার বিভিন্ন স্থানে। তাঁদের সমাধিফলকের স্থানে নির্মিত হয়েছে মাজার শরীফ। যা মূলত বাংলাদেশের পুণ্যতীর্থ বা আধ্যাত্মিক স্থাপনা। এসব মাজারে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে প্রচুর দর্শনার্থীর আগমন ঘটে।তারই একজন হযরত কালাই শাহ (রঃ)।

লেখক: চিকিৎসা প্রযুক্তিবিদ,শিক্ষক ও গনমাধ্যমকর্মী।