কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র মনিরুল হক সাক্কুকে উদ্দেশ্য করে সদর আসনের এমপি হাজী আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার বলেছেন, ‘এতো অস্থির হইয়েন না, মামলা হবে। আপনি যেহেতু মামলা চান, কইরা দিমু আরকি। আমি একটু দেখতেছি, আপনি কতটুকু বাড়তে পারেন।’ মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) রাতে কুমিল্লা নগরীর ১৪ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এমপি বাহার এ কথা বলেন। সম্মেলনে প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরফানুল হক রিফাত।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে এমপি বাহার বলেন, ‘২০০৮ সালে আপনাদের ভোটে আমি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর কুমিল্লা পৌরসভাকে সিটি কর্পোরেশনে রূপান্তরিত করেছি। আজকে চোর মেয়র (সাবেক মেয়র সাক্কু) বলে- আমি কি করেছি? আমি কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন করে দিয়েছে। সিটি কর্পোরেশনে টাকা এনে দিয়েছি। শহরে যতো উন্নয়ন আমি করেছি।
‘সে প্রশ্ন করে ১২ বছর তাকে কিভাবে রাখলাম? অবশ্য আমার কোনো দোষ ছিলো না। আমি বারবার রিফাতের মনোনয়নের জন্য দলের কাছে গিয়েছি। কিন্তু চক্রান্ত-ষড়যন্ত্রের জন্য আনতে পারি না। যখন আমি রিফাতকে এনেছিÑ তখন সাক্কু ভাই নাই। আরো আগে যদি রিফাতকে আনতে পারতাম, তাহলে কুমিল্লার মানুষের টাকা লুট করতে পারতেন না।
এমপি বাহার বলেন, ‘এরপর প্রশ্ন করে হজ করলেন (একসাথে) কেনো? ৩৫ লাখ মানুষ হজ করে। আমি একলা করছি? আমি এক টিমে গেছি, সে এক টিমে ছিলো। মক্কায় দেখা হয় নাই, মদিনায় গিয়ে আমাদের হোটেলে উঠেছে। সে দুর্নীতি ঢাকা দেওয়ার জন্য হজকে উদাহরণ হিসেবে এনেছে। সে আপনাদের টাকা লুট করেছে। উনি জানতে চান, ১২ বছর কিভাবে ঘর করলাম? তখন রিফাত (মেয়র) ছিলো না; রিফাত থাকলে কি আপনার সাথে ঘর করি?’
সাবেক মেয়র সম্পদ নিয়ে প্রশ্ন তুলে এমপি বাহার বলেন, ‘সে এতো ফ্ল্যাটের মালিক হলো কিভাবে? প্রতিটা প্ল্যান পাশ করে টাকা নিয়েছে। আজকে কুমিল্লাকে জঞ্জালের শহরে পরিণত করেছে। বড় বড় বিল্ডিং উঠেছে। কোনো আইনকানুন মানেনি। যেখানে তিন তলার পারমিশন দেওয়ার কথাÑ টাকা নিয়ে সেখানে ১৫তলা/ ১৬ তলার পারমিশন দিয়েছে। শহরটাকে জঞ্জালে পরিণত করেছে। যানজট এখন নিত্যসঙ্গী। এক ঘন্টা বৃষ্টি হলেই শহর ডুবে যায়। শহরকে শঙ্কুচিত করে ফেলা হয়েছে।’
এমপি বার বলেন, ‘এখন পুরো কুমিল্লা শহরে উন্নয়ন কাজ হচ্ছে। আমাদের মেয়র কোনো কাজ বাকি রাখবেন না।